Saturday, এপ্রিল ২০, ২০২৪

গিলগিট-বাল্টিস্তান ভারতের, পাক দখলদারি অবৈধ: ব্রিটিশ পার্লামেন্ট

gilgikbakistan

গিলগিট-বাল্টিস্তান অঞ্চলকে পাকিস্তানের পঞ্চম প্রদেশ হিসেবে ঘোষণা করা হবে বলে যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসলামাবাদ, তার নিন্দা শুরু হল আন্তর্জাতিক মহলে। ওই অঞ্চলকে ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে ঘোষণা করে প্রস্তাব পাশ হল ব্রিটিশ পার্লামেন্টে। অবৈধ ভাবে ওই অঞ্চলকে দখল করে রেখেছে পাকিস্তান, মন্তব্য ব্রিটেনের আইনসভার। গিলগিট-বাল্টিস্তান হয়ে যে অর্থনৈতিক করিডর তৈরি করেছে চিন-পাকিস্তান, তাকেও অবৈধ আখ্যা দিয়েছে নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য ব্রিটেন।

পাক প্রধানমন্ত্রীর বিদেশ নীতি সংক্রান্ত উপদেষ্টা সরতাজ আজিজের নেতৃত্বে গঠিত একটি কমিটি সম্প্রতি জম্মু-কাশ্মীরের গিলগিট-বাল্টিস্তান অঞ্চলকে পাকিস্তানের পঞ্চম প্রদেশের মর্যাদা দেওয়ার সুপারিশ করেছে। পাক সরকার সেই লক্ষ্যে এগোতেও শুরু করেছে। কিন্তু ভারত গিলগিট-বাল্টিস্তানের উপর নিজেদের দাবি ছাড়েনি। ওই অঞ্চল যে ভারতের জম্মু-কাশ্মীর প্রদেশের অবিচ্ছেদ্য অংশ, তা এ বার ব্রিটিশ পার্লামেন্টও মেনে নিল।

gilgikbalkistan2

ব্রিটেনের শাসক দল কনজারভেটিভ পার্টির এমপি বব ব্ল্যাকম্যান সে দেশের পার্লামেন্টে প্রস্তাবটি পেশ করেন। তাতে বলা হয়েছে, ‘‘গিলগিট-বাল্টিস্তান হল ভারতের জম্মু-কাশ্মীর প্রদেশের বৈধ এবং সাংবিধানিক অংশ, পাকিস্তান ওই অঞ্চলকে ১৯৪৭ সাল থেকে অবৈধ ভাবে দখল করে রেখেছে এবং সেখানকার মানুষকে মত প্রকাশের স্বাধীনতা এবং অন্য সব মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করে রেখেছে।’’ ২৩ মার্চ ব্রিটিশ পার্লামেন্টে প্রস্তাবটি পাশ হয়ে গিয়েছে। ব্রিটেন বলেছে, পাকিস্তান এমন একটি অঞ্চলকে নিজেদের পঞ্চম প্রদেশ হিসেবে ঘোষণা করতে চলেছে, যে অঞ্চলের উপর তাদের অধিকারই নেই।

ব্রিটিশ পার্লামেন্টে গৃহীত প্রস্তাবটিতে যে শুধু পাকিস্তানের অস্বস্তি বাড়ল, তা কিন্তু নয়। অস্বস্তি বাড়ল চিনেরও। চিনের কাশগড় থেকে পাকিস্তানের গোয়াদর পর্যন্ত যে চিন-পাক অর্থনৈতিক করিডর তৈরি হয়েছে, ব্রিটেন সেই করিডরকেও অবৈধ আখ্যা দিয়েছে। কিছু দিন আগেই রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদ চিনের ‘ওয়ান বেল্ট ওয়ান রোড’ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে। চিন-পাক অর্থনৈতিক করিডর সেই ‘ওয়ান বেল্ট ওয়ান রোড’ উদ্যোগেরই অন্যতম অংশ। গিলগিট-বাল্টিস্তানের মধ্যে দিয়ে ওই করিডর তৈরি হওয়ায় ভারত বার বার এর বিরোধিতা করছিল। কিন্তু রাষ্ট্রপুঞ্জ চিনের ‘ওয়ান বেল্ট ওয়ান রোড’ নীতিকে স্বাগত জানানোয় প্রকারান্তরে চিন-পাক অর্থনৈতিক করিডরের উপরেও রাষ্ট্রপুঞ্জের সিলমোহর পড়ে গিয়েছিল। তাতে চিন উল্লসিত হয় এবং ভারতকে ‘বাস্তববাদী’ হওয়ার পরামর্শ দেয়। কিন্তু ব্রিটেন এ বার ওই প্রকল্পকে অবৈধ দখলদারি বলে আখ্যা দেওয়ায়, চিনের অস্বস্তি ফিরে এল। কারণ যে নিরাপত্তা পরিষদ তাদের প্রকল্পকে অনুমোদন দিয়েছে বলে চিনের দাবি, সেই নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য ব্রিটেনই খুব সুনির্দিষ্ট ভাবে চিনা প্রকল্পের বিরোধিতা করল।

একই রকম সংবাদ

বিজ্ঞাপনspot_img

সর্বশেষ খবর