৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনের পর থেকে বিএনপি অনেকটাই দিশেহারা। তৃণমূল পর্যায়েও বিরাজ করছে হতাশা। গত দুই মাস ধরে বিএনপির তেমন কোনও রাজনৈতিক কর্মসূচি দেখা যায়নি। দলীয় নেতাদের ভাষ্য, সর্বশেষ একাদশ সংসদ নির্বাচনের পর আন্দোলনের বিষয়ে ঠিক করতে একবার তারা বৈঠক করলেও আন্দোলনে নামার বিষয়ে মতবিরোধ থাকায় তা ফলপ্রসূ হয়নি। এ অবস্থায় বেশিরভাগ নেতা আন্দোলনের চিন্তা বাদ দিয়ে কেন্দ্র থেকে তৃণমূল পর্যন্ত দল গোছানো ও শক্তিশালী করায় মনোযোগ দিচ্ছে।
এদিকে ঐক্যফ্রন্টের অন্যতম নেতারা বিএনপি অচিরেই আন্দোলনে নামার পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন। তাদের মতে যত দিন যাবে ততই সরকার তার অবস্থান পাকাপোক্ত করে ফেলবে। কিন্তু ঐক্যফ্রন্টের এমন পরামর্শের বিষয়ে দলটির চেয়াপারসন খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমান জোরালো আপত্তি জানিয়েছেন বলে জানা গেছে। দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ‘কারো কোন কথা না শুনে’ দলকে সুসংগঠিত করে এগিয়ে যাওয়ার নির্দেশনা দিয়েছেন।
ফলশ্রুতিতে স্বাভাবিকভাবেই দলকে পুনরায় চাঙ্গা করতে পরিবর্তন আসছে বিএনপির মহাসচিব পদ সহ স্থায়ী কমিটির মতো বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে। কে হতে যাচ্ছেন বিএনপির নতুন মহাসচিব? বিএনপির দায়িত্বশীল একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে যে, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে সরিয়ে দলের সিনিয়র কোন হেভিওয়েট নেতা নয় বরং একজন ফ্রেশ এবং ক্লিন ইমেজের একজনকে মহাসচিব করার ব্যাপারে চিন্তাভাবনা করছেন লন্ডনে পলাতক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়া।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে বিএনপির যে সমস্ত হেভিওয়েট নেতারা রয়েছেন তারা প্রায় সবাই বার্ধক্যে। এছাড়া বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যদের মধ্যে দলাদলি ও কোন্দল প্রকট। এরা একে অন্যের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে এবং গোপনে কাজ করে। যাকেই মহাসচিব করা হোক না কেন স্থায়ী কমিটির মধ্য থেকে। তিনি অন্য সিনিয়র নেতাদের তোপের