Friday, এপ্রিল ১৯, ২০২৪

জাতীয় ঐক্যে তারেককে চান না জাতীয় ঐক্যের নেতারা

সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদে মদদ দেওয়ার কারণে বিএনপির গ্রহণযোগ্যতা এখন প্রায় শূন্যের কোটায়। দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ৯ মাস যাবৎ দুর্নীতির দায়ে কারাবাস করছেন। অপর দিকে দুর্নীতির বরপুত্র বলে খ্যাত দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমান লন্ডনে পলাতক প্রায় ১২ বছর। অক্টোবরে ২১ শে আগস্ট গ্রেনেড হামলার মামলার রায় হওয়ার কথা, রায়ে তারেক রহমানের বড় ধরণের সাজা হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তাই বাধ্য হয়েই তারেককে জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়া থেকে বাদ দিতে সিনিয়র নেতারা একমত হয়েছেন।

জাতীয় ঐক্যের নেতারা মনে করেন বিএনপি থাকলে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড, জ্বালাও-পোড়াও করে জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়াকে বিতর্কিত করবে এবং যেকোন মূল্যে নির্বাচন বর্জন করার চেষ্টা করবে, যেটি জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার পরিপন্থী। কারণ জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার নেতারা শেখ হাসিনা সরকারের অধীনেই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে চান। তারেকের অশুভ ছায়া এই রাজনৈতিক জোটকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে। বিএনপি ও তারেক রহমানকে এই প্রক্রিয়ায় অবাঞ্ছিত ঘোষণা করার জন্য বি. চৌধুরী ও ড. কামালের কাছে চিঠিও দিয়েছেন ঐক্যের অন্য নেতারা।

নাম প্রকাশ না করা শর্তে জাতীয় ঐক্যের এক নেতা বলেন, বিএনপি আজ বেঁচে আছে শুধু মির্জা ফখরুল ও রিজভীর কারণে। ক্ষমতা পেয়ে যে তারেক আকাশ-পাতাল এক করেছিলেন, সেই তারেক আজ ক্ষমতায় আসার জন্য বি. চৌধুরী ও ড. কামালের পা ধরতেও লজ্জা পাবেন না। আমরা তারেক রহমান ও বিএনপির ক্ষমতায় যাওয়ার সিঁড়ি হতে চাই না। খালেদা জিয়ার দুর্নীতির দায়ভার নেবে না জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়া। সুতরাং বৃহত্তর রাজনৈতিক স্বার্থে বিএনপি ও তারেক রহমানকে বর্জন করতে হবে। দুর্নীতিবাজদের সঙ্গী হওয়ার চেয়ে সরকারের উন্নয়নের সাথী হওয়া ভাল।

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে শেখ হাসিনা সরকারের অধীনে নির্বাচনে অংশগ্রহণ বিষয়ক একটি জরুরী সভায় ২৫ সেপ্টেম্বর বি. চৌধুরীর বাসায় মিলিত হন জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার নেতারা। সভায় সরকারকে বুঝিয়ে নির্বাচনে তাদের জন্য লেবেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করা, জাতীয় পার্টিকে বাদ দিয়ে জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়াকে প্রধান বিরোধী দল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার বিষয়ে আলোচনা হয়। আলোচনার এক পর্যায়ে বিএনপি ও তারেক রহমানকে মাইনাস করেই আগামী জাতীয় নির্বাচনে জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার বিষয়ে মন্তব্য করেন উপস্থিত নেতারা।

একই রকম সংবাদ

বিজ্ঞাপনspot_img

সর্বশেষ খবর