Friday, মার্চ ২৯, ২০২৪

বাউফলে ৬০০ কোটি টাকা ব্যয়ে ১ হাজার কিমি সড়ক পাকা

পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলায় ৬০০ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রায় এক হাজার কিলোমিটার গ্রামীণ সড়ক পাকা করা হয়েছে। এ সময় ২৫৩ কিলোমিটার সড়ক সংস্কারও করা হয়।

 

উপজেলায় আরও ৬০ কিলোমিটার গ্রামীণ সড়ক নির্মাণাধীন ও ৪০ কিলোমিটার সংস্কারাধীন রয়েছে। চলমান প্রকল্পের আওতায় আরও ৩০০ কিলোমিটার সড়ক নির্মাণ করা হবে। ২০০৯ থেকে ২০২১ অর্থবছরের মধ্যে এ প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন করা হয়।

 

চন্দ্রদ্বীপ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলকাস মোল্লা বলেন, বাউফলে আমার ইউনিয়নের সর্বত্র পাকা সড়ক নির্মাণ করা হয়েছে। আমার ইউনিয়নের জনগণ এখন তার সুফল ভোগ করছেন। তেঁতুলিয়া নদীর মাঝে আমার ইউনিয়নের অবস্থান। ট্রলার দিয়ে নদী পারাপার হতে হয়। এ ইউনিয়নে একদিন পাকা সড়ক হবে, সেই সড়কে গাড়ি চলবে কেউ কোনো দিন ভাবতেই পারেনি।

 

উপজেলার কেশাবপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সালেহ উদ্দিন পিকু জানান, কেশাবপুর নদী পাড়ের ইউনিয়ন। ২০০৯ এর আগে এই জনপদে মাত্র একটি হেরিংবন (ইটের রাস্তাা) রাস্তা ছিল।

 

আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর আমাদের ইউনিয়নে ২২ কিলোমিটার গ্রামীণ সড়ক পাকা করা হয়েছে। নির্মাণধীন আছে আরও ১২ কিলোমিটার। প্রস্তাবিত আছে ১৩ কিলোমিটার সড়ক।

 

বাউফল উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান মোসারেফ হোসেন খাঁন বলেন, সাবেক চিফ হুইপ আসম ফিরোজের প্রচেষ্টায় এবং আবেদনের প্রেক্ষিতে বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে বিশেষ করে ত্রাণ ও দুর্যোগ মন্ত্রণালয়, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় এবং সড়ক ও সেতু মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে বাউফল উপজেলায় ব্যাপক উন্নয়ন করা হয়েছে।

 

তিনি বলেন, বিগত এক দশকে গ্রামীণ সড়ক উন্নয়নে সরকারের অর্জন যে কোনো সময়ের চেয়ে ৬ গুণ বেশি। ২০০৯ সাল পর্যন্ত পাকা সড়ক ছিলো ১৫৩ কিলোমিটার। এখন বাউফলে পাকা সড়ক প্রায় এক হাজার কিলোমিটার। আগামী কয়েক বছরের মধ্যে এ উপজেলায় কোন কাঁচা সড়ক থাকবে না। বর্তমান সরকারের সময় সড়ক পাকা হয়ে যাবে।

 

তিনি আরও বলেন, প্রত্যেকটি ইউনিয়ন পরিষদ থেকে উপজেলা সদর এবং প্রত্যেকটি সরকারি প্রাইমারি স্কুল থেকে ইউনিয়নের প্রধান সড়ক পর্যন্ত রাস্তা পাকা করা হয়েছে। এখন কৃষক বাড়ি থেকে তার উৎপাদিত পণ বিক্রির জন্য শহরে ও প্রধান হাটবাজারে নিয়ে যেতে পারেন।

একই রকম সংবাদ

বিজ্ঞাপনspot_img

সর্বশেষ খবর